Abir
জনস্বাস্থ্যকর্মী হয়ে ওঠার গল্প- দিনটা ছিল ১৯ মার্চ, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হয়েছে, চারদিকে নানা আলোচনা, ভীতি। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারনে সবে অফিস থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অফিসের কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি পরের সপ্তাহ থেকে বাসায় থেকে কাজ করার জন্য। কাজ শেষ করে অফিস থেকে বাসায় ফিরেছি, এর কিছুক্ষণ পরেই বিকেল ৪টা নাগাদ এক কলিগের ফোন পাই। জানতে পারলাম, আমাদেরই একজন কলিগ, কোন একজন করোনা পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন না জেনে এবং সেই কলিগের সাথে যাদের কোন না কোন ভাবে ইন্টারেকশন হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ দিয়েছে অফিস। তার মধ্যে আমিও একজন।কিছুক্ষন পরেই অফিস থেকে ফোন পেলাম। দিন দিন অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছিলো। তখনো হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়গুলো নিয়ে সরকার বা আমাদের দেশের অন্য সংস্থাগুলো এতটা ব্যস্ত হয়ে ওঠেনি। খবরটা শোনার সাথে সাথে মুহূর্তে অজানা আশংকায় আর ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠল। এতদিন টিভি বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানলেও নিজের ক্ষেত্রে এটা করতে হবে কখনো ভাবিনি। কী করতে হবে, কী করব- ভেবে দিশেহারা হয়ে গেলাম। কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিন করতে হবে তখনো এতটা ব্যাপকভাবে জানতাম না। তবে এটা জানতাম শুধু বাসায় থাকা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে এই সময়। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের অস্থির ভাব কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাকে আলাদা থাকতে হবে। আমি জেনে নিলাম হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়মগুলো ডাব্লিউএইচও এর গাইডলাইন দেখে। ভেবে নিলাম কি করে আমার ফ্যামিলির সাথে এই বিষয়টা শেয়ার করব। কীভাবে শুরু করব, কীভাবে বলব ভেবে নিলাম। নিজের মনের ভয়, আশঙ্কা আর দুশ্চিন্তাকে চেপে রেখে সম্পূর্ণ বিষয়টা খুলে বললাম । শুরুতে কেউই মানতে চাইছিল না ।নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা রুমে থাকাই শ্রেয় মনে করলাম আমি। কখনো আলাদা ঘুমানো হয়নি, বিশেষ করে রাতে একা ঘুমাতে আমি ভয় পেতাম ছোটবেলা থেকেই। যুক্তি দিয়ে, আবেগ দিয়ে অনেকটা সময় দিয়ে বুঝিয়ে শেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ১৪ দিন আলাদা থাকবো, আলাদা ঘরে।আলাদা করে নিতে লাগলাম সমস্ত জিনিস-বিছানা, বালিশ, কাঁথা, তোয়ালে, জামা কাপড়, প্লেট, গ্লাস, বেড শিট…। হঠাৎ নিজেকে কেমন জানি বিচ্ছিন্ন, অশৌচ মনে হচ্ছিলো। আমার স্পর্শ লাগা প্রতিটা জিনিস মুছতে লাগলাম। বুঝলাম এ এক কঠিনতম অবস্থা, অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। আলমারি ওয়ারড্রোব, ফ্রিজ, কিচেনটপ, কেবিনেট, বইয়ের টেবিল, সু-কেস পর্যন্ত ডিসইনফেকটেন্ট করেছিলাম। টিভি সংবাদে দেখছিলাম বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়মগুলো মানছেন না বা মানতে চাইছেন না। অনেক আলোচনা, সমালোচনা চলছে সবখানে এ নিয়ে। কিন্তু দেশের আপামর জনসাধারণদের ক্ষেত্রে কী হবে, কীভাবে তারা বুঝবে বা মানবে সেটা ভেবেই অস্থিরতা কাজ করছিল। প্রথম দুদিন খুব মন মরাভাবে কেটেছিল, কথা বলতে গেলেও ভয় লাগত, একসাথে বসে চা খাওয়া, গল্প করা সব বাদ দিতে হল। কিভাবে একটা ছোট্ট ভাইরাস এক বাসায় থাকা সবাইকে আলাদা করে দিল, লাইফস্টাইলটাই পরিবর্তন করে দিল তাই ভাবছিলাম বার বার। অদ্ভুতভাবে খেয়াল করলাম, কেমন যেন নিজের অজান্তে নিজের হাতকে অবিশ্বাস করছি, বার বার হাত ধুচ্ছি, নিজেকে ভয় পেতে লাগলাম। আমার কোনো ধরা ছোঁয়ার কারণে আমার পরিবারের আর সবার না কোন ক্ষতি হয়ে যায় এই ভেবে…। এই ভয়ে…। সময়টা বড় অদ্ভুত লাগছিল। প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছিলাম এ বড় কঠিন কাজ, যা পরিবারের সদস্যদেরর সাহায্য ছাড়া এক প্রকার অসম্ভব। বার বার নিজেকে সান্তনা দিচ্ছিলাম, আমি তো ইনফেকটেড না, কিন্তু তাও এক্সপোজোর হিসেবে নিজেকে নিরাপদ ও ভাবতে পারছিলাম না। আমি হোম কোয়ারেন্টিনে, অফিস এর কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে লাগলাম। দেশে আর ও কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হচ্ছিল, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সচেতনতা বা সুবিধা না থাকায় অনেক কারণেই মনে হচ্ছিল- কী হবে, কীভাবে আমরা সবাই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাব? মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারছি, কিট নেই, পিপিই নেই, ট্রেনিং নেই, আশা জাগানো কোন ব্যবস্থা দেখতে পারছিলাম না সরকারের তরফ থেকে। শুধু দেখতে পারছি উচু মহল থেকে শুরু করে সাধারণদের মধ্যে ব্যাপক ভুল ধারণা আর অসচেতনতা। এপ্রিলের ২ তারিখে আমার কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিন পূর্ণ হলো। তাও মনের ভয় দূর হচ্ছিলো না বলে একদিন বেশিই থাকলাম কোয়ারেন্টিনে। করোনাভাইরাস এর ব্যাপারে অথেন্টিক সোর্স খুঁজে কিছু কিছু পড়াশুনা করে নিজেকে আপডেট করলাম। কারোর সাথে কোনো কিছু পরামর্শ না করেই নিজ উদ্যোগে এ লেগে পড়লাম। কথা বলতে ভালবাসা আর সহজ ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে শুরু করলাম ‘করোনা সচেতনতা অভিযান’ একদম একা আর ঘর থেকেই। শুরু করলাম আমাদের চারতলা বিল্ডিং এর দারোয়ানকে দিয়ে। হাত ধোয়ার নিয়ম, মাস্ক এর ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা আর স্যানিটাইয বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করল। সহজ ভাষায় তাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎস, কারণ এবং এ থেকে বেঁচে থাকার উপায়গুলো বর্ণনা করলাম। শুরুতে বুঝতে না চাইলেও পরে আস্তে আস্তে নিজ উৎসাহে মানতে শুরু করল। গেটের কাছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করলাম। শিখিয়ে দিলাম সহজে এবং কম খরচে হ্যান্ড ওয়াশিং লিকুইড বানাবার নিয়ম, নিজেই এক বোতল বানিয়ে উৎসাহ দিলাম। সাদা কাগজে লাগিয়ে দিলাম হাত ধোয়ার নিয়ম আর করোনাভাইরাস সতর্কতামূলক কিছু বার্তা। এরপর শুরু করলাম বিল্ডিং এর চারতলায় মোট সাতটা ফ্যামিলির লোকদের বোঝানো। বিভিন্ন পেশাজীবীর আবাস ছিল (ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ব্যাংকার, বেসরকারি কর্মকর্তা) এক্ষেত্রে আমি প্রতিটি বাসার তুলনামূলক তরুণ সদস্যদের (১৬-২৫) দিয়ে, বাসার নিচে, ছাদে যেখানে যার সাথে দেখা হয়, তাদের দায়িত্ব দিয়ে দিলাম যার যার পরিবারকে সচেতন করতে। আমার কথায় তারা উৎসাহ পেল এবং নিজ নিজ বাসার বয়স্ক, অপেক্ষাকৃত ছোট সদস্য বিশেষ করে নারীদের বোঝানোর দায়িত্ব দিলাম। আগে প্রতিবেশিদের সাথে ‘হাই’, ‘হ্যালো’ সম্পর্ককে এরেকটু ঝালিয়ে নিলাম। পাশের বাসার মুরুব্বী চাচাকে ভালভাবে বুঝিয়ে সচেতন করে ছাড়লাম। এমন হল সেই চাচা হাতে হ্যান্ড রাব নিয়ে ঘুরছেন, আর ওকে দেখিয়ে মুচকি হেসে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি এখন এসব মানছেন। তার কর্মক্ষেত্রে এটা নিয়মিত চর্চা করছেন বলেও জানালেন। তাকে দেখে তার কয়েকজন কলিগ এবং বন্ধুও উৎসাহিত হয়েছে বলে জানালেন অত্যন্ত আগ্রহের সাথে। সেকেন্ড ধাপে শুরু করলাম বাসার কাছেই এলাকায় যাদের কাছ থেকে নিয়মিত সবজি, ফল কিনতাম সেই মামাদের কাছে করোনাভাইরাস সচেতনতামূলক কার্যক্রম। দেখতাম তারা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে, কখনো হা্তে হাত দিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গল্প করছে, আর হাসাহাসি করছে (লোকে মুখে জেনেছে করমর্দন করা যাবেনা, একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলতে হবে- এটা ওদের কাছে হাসির বিষয় মনে হয়েছে- যা খুব স্বাভাবিক তাদের জন্য)। পরিচয় এর সূত্রে সবজি বিক্রেতার সাথে খাতির থাকায়, উনাকে দিয়ে শুরু করলাম দ্বিতীয় কাজ। একইভাবে তাকে করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করা, মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার নিয়ম, অনেক লোক তার কাছ থেকে কিনতে আসে বলে তার সতর্ক থাকার গুরুত্ব বুঝিয়ে বললাম। শুরুতে মানতে চায়নি, হেসে উড়িয়ে দিয়েছে, কৌতুক হিসেবে নিয়েছে, কিন্তু আমি হাল ছাড়ার পাত্র নই, একইসাথে সম্মান এবং শাসন এর মাধ্যমে বুঝিয়ে বাধ্য করেছি তাকে সচেতন হতে। তাকে এবং সাথের আরও দুজন বিক্রেতাকে কিনে দিলাম মাস্ক এর হ্যান্ড গ্লাভস। সেই সবজি মামার পাশে বসেন আরও দুজন পেঁয়াজ বিক্রেতা, আর ফল বিক্রেতা মামা, মুচি মামা, ফেরিওয়লা, একে একে সবাই কে বলে উদ্বুদ্ধ করেছি এবং একজন যখন মেনে চলা শুরু করল অন্যরা ও আগ্রহ পাওয়া শুরু করল।তারপর থেকে সবাই মাস্ক পরে বসতে দেখেছি। যখন যেখানে যেতাম লোকদের বোঝাতাম। বাসার কাছেই হাঁটতে যেতাম, সেখানে প্রায় বিভিন্ন বয়সী (৮-১৬) ছেলেমেয়েরা খেলাধুলাা করত, সাইকেল চালাত। অনেক বয়স্করা হাঁটতে আসতেন, তাদের পরিচিত, অপরিচিত অনেককে বলার চেষ্টা করেছি, যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে। বাচ্চাদের একসাথে হয়ে খেলাধুলাা করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিতাম। বাচ্চারা প্রথম প্রথম হাসত, বলত- আমাদের কিছু হবে না, এগুলো বিদেশের ভাইরাস, তখন তাদের ধমক ও দিতাম। পরিচিত হবার সুবাদে সম্মান রক্ষায় অথবা ভয়ে বাচ্চারা বাইরে বেরিয়ে খেলা কমিয়ে দিয়েছিল। এরপর তো সরকারি আদেশে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করল, অঘোষিত লকডাউন শুরু হল। এভাবে, শিশু, কিশোর, বয়স্ক, স্বল্পশিক্ষিত সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে শিক্ষিত চাকুরীজীবী প্রতিবেশীদের সচেতন করা শুরু করেছিলাম। আমার এতো আগ্রহ দেখে বিল্ডিং এর অনেকে আরও সচেতন হয়ে উঠলো। একদিন পর পর পুরো বিল্ডিং এর সব ফ্লোর এর সিঁড়ি, রেলিং, প্রতিটা দরজার তালা, জানালায়, ছাদে ডিসইনফেক্টেট ছিটিয়ে পরিষ্কার করা শুরু হলো। দারোয়ান এর কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট নিতাম। যাদের সাথে যেখানে দেখা হতো পরিচিত, অপরিচিত তাদের সতর্ক করতাম। এই উদ্যোগের পাশাপাশি কিছু অর্থনৈতিক সহযোগিতা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলাপ করলাম আমার বড় ভাইয়ের সাথে। বাইরে বের হওয়া অনিরাপদ বলে চাল-ডাল কিনে কয়েকজনকে দেবার ইচ্ছা থাকলেও বাইরে না বেরিয়ে কী করে কন্ট্রিবিউট করা যায় তা খুঁজেতে থাকলাম। আর পেয়ে গেলাম কিছু অথেনটিক সোর্স। তার মধ্যে ‘এক টাকার আহার’ নামে সামাজিক সংগঠন যেটা বিদ্যানন্দ নামে পরিচিত, যারা এই দুর্যোগে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নির্দ্বিধায় ডোনেট করলাম বিকাশের মাধ্যমে সামর্থ্য অনুযায়ী। আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের সূত্রে নিজেদের চেনা-জানা কয়েকজনের মারফতে যারা অভাবী, কর্মহীন মানুষদের খাবার, ওষুধ, নিত্য পণ্য পৌঁছে দেবার কাজ করেছি, (সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে) তাদের সাথেও যুক্ত হলাম। ঘরে বসে আর একটা কাজ শুরু করলাম। সেটা হল নিয়মিত গ্রামের বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফোনে তাদের সচেতন করার কাজ করতে লাগলাম। নিজের জানার মধ্যে যা কিছু আছে অথেন্টিক পরামর্শ আর তথ্য দিতে লাগলাম তাদের। গ্রামের বাড়িতে থাকা, বিদেশে থাকা আত্মীয় কেউ বাদ যাননি। যদিও সবাই শিক্ষিত কিন্তু তা সত্ত্বেও খেয়াল করলাম, করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সিরিয়াসনেস একেবারে নেই বললেই চলে। শুরু করলাম সকাল বিকাল ফোন কল। যাকে যেভাবে বোঝানো যায় বড় থেকে ছোট সবার সাথে আলাদা করে কথা বলে বোঝাতে লাগলাম। যদিও কাজটা ছিল অনেক কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে তারা বিরক্ত হয়েছেন, বার বার একই কথা বলার কারণে রাগ করেছেন, হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু হাল ছাড়িনি। অনেক ক্ষেত্রে তারাও সচেতন হয়ে উঠেছে। তুলনামুলক শিক্ষিত কিন্তু অসচেতন লোকেদের বোঝানো কঠিন।কেননা তারা নিজেদের জানার বাইরে কারো কাছ থেকে কিছু বুঝতে বা শিখতে চান না। নিজের পরিসরে যাকে যেভাবে সম্ভব উদ্বুদ্ধ করেছিলাম, সঠিক তথ্য আর উপায় দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলাম । এ ব্যাপারে সাহায্য করার মানশিকতা থাকলে জনস্বাস্থ্য নিয়ে জানার বা পড়ার দরকার পড়বে না, দরকার একটু সচেতনতা আর কর্মোদ্যোগী মন যা যেকোনো কিছুতেই বিজয় অর্জন করতে সক্ষম।