মায়ের মুখের হারানো হাসি বিজয়ের গল্প

Puja Paul

আমি আর রাজু একই ক্লাসে(৩য় শ্রেণি) পড়তাম । একদিন ত আমাদের মায়েদের মধ্যে কথা হচ্ছে। আমার মা: তো ভাবি ছেলেকে কি বানাবেন? ডাক্তার না ইঞ্জিয়ার? আমি তো আমার মেয়েকে--- আমার মার মুখ থেকে কথা কেঁড়ে নিয়ে রাজুর মা বললেন: কিছু একটা তো ভালো কিছু বানাতেই হবে।আপনার মতো আমার মেয়ে না তো যে বিয়ে দিয়ে দিব,অন্যের টাকায় সংসার করবে।আমার তো ছেলে, মানুষ তো করতেই হবে বলেন। আমার মা সেদিন আর কিছুই বললেন না।নিজেকে কেমন যেন ছোট ছোট লাগছিল তার। বহু বছর পর আবার যেদিন তাদের দেখা। আমার মা: ভাবি কেমন আছেন?তা ছেলেকে কি বানাইলেন? ডাক্তার নাকি ইঞ্জিনিয়ার? রাজুর মা:আরে ভাবি ওর মাথায় অতো পড়া ঢুকে না। অই যে হৃদ হসপিটালটা আছে না, ওখানে একটা ফার্মেসির দোকান দিসে। শতাব্দীর মা: ওওও। রাজুর মা: তা আপনার মেয়ের কি খবর? আমার মা:ভাবি ওই হৃদ হসপিটালটা তো আমার মেয়েরই। মেয়ে তো অনেক বড় ডাক্তার,সরকারি চাকরি করে। সকালে অফিস করে এসে বিকেলে চ্যাম্বারে বসে, ওই হৃদ হসপিটালেই। রাজুর মা:ভাবি আমারও যদি আপনার মতো একটা মেয়ে থাকত। আজকে আর শতাব্দীর মার নিজেকে ছোট মনে হলো না। বরং মেয়ে জন্ম দিতে পেরে আজ সে গর্ববোধ করছে। ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি। মনে হলো যেনো হারানো সেই হাসি ফিরে এসেছে মায়ের মুখে মেয়েরাও এখন ছেলেদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।তাদেরকে আমরা একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক দূর এগিয়ে যাবে তাই আসুন মেয়েদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আমি এবং একটি সুন্দর সুশীল সমাজ গড়ি।