আমার সূর্যমেঘের ছায়া

Ritika saha

পরিবারের আমি বড় মেয়ে।গত বছর করোনার সময় আমার বাবার চাকরিটা চলে যায়।তখন আমার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে।আমরা ছোট বোন ও আছে পড়ালেখা করে আর আমিও।এইদিকে বাসা ভাড়া থাকার কারনে মাসের শেষে অনেক টাকা লাগত।বাবার চাকরিটাও চলে গিয়েছি। আমি তখন একটা ছোট চাকরির খোঁজ করছিলাম পেলাম না।প্রতিবেশীদের বলতে থাকি টিউশানির কথা।সব মিলিয়ে আমার পরিবারের মুখের হাসি চলে গিয়েছি। আমি কখনো আর আমার পরিবারের এমন কষ্ট দেখিনি।আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না।অনেক কষ্টের পর ২টা টিউশানি পেলাম।২য় মাস পর আরো দুটো পেলাম।আমি আমার পরিবার কে সাহায্যকরতে পারলাম।আমি কখনো ভাবিনি আমি আমার পরিবারকে সাহায্যকরতে পারবো।মা বাবার মুখে কিছু হলেও হাসি ফুটাতে পারলাম।এই যেন অনন্য রকমের বিজয়ের সুখ।অল্প হলেও আমি আমার পরিবারের জন্য কিছু করছি।মা বাবা কে সাহায্য করছি ওদের মুখে কিছু হলেও হাসি ফুটিয়েছি।আমি ১৯৯১ সালের বিজয় আমি দেখি নি কিন্তুু আমার পরিবার আর আমার মা বাবার মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাই আমাকে বিজয়ের সুখ এনে দিয়েছে।আমার তো মনে হয় পৃথিবীর সকল সংগ্রামী মেয়েরা তাদের পরিবারের কাছে নিজের কাছে বিজয়ী।এই বড় আনন্দের বিজয়।জীবন যুদ্ধে লড়াই করা বিজয়ী হবার বিজয়।