Syed Rahat Husain Husain
জীবনে বেঁচে থাকতে হলে কিংবা বড় হতে হলে চ্যালেন্জিং এর মধ্যে লড়াই করে বাচঁতে হয়। আমি সৈয়দ রাহাত হোসেন আজ নামের আগে "" রন্ধন শিল্পী " কথাটি লিখি বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাই তার জন্য কিন্তু অনেক অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। আমার জীবনের আজকের সাফল্য ও পরিচিতি একদিন এ আসেনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কষ্টের পর এসেছে। আমার শখ ছিল ভালো রাধুনী হওয়ার আর তার জন্য আমি মায়ের বকুনি খেয়েছি অনেক, যখন বাবা মারা যায় আর সংসার এ আমি ও মা থাকি তখন মায়ের কাছে থেকে আমার রান্নার হাতেখড়ি। জীবনে কখনো ভাবিনি আমার স্বপ্ন পূরন হবে আর রান্নায় যে এত নিয়ম ও কোর্স আছে বুঝিনি। ঢাকায় এসে যখন টিভিতে কুকিং শো দেখতাম তখন থেকে আমি নিজেকে ওখানে ভাবতাম। এর জন্য প্রথম ২০০৯ সালে একটি কুকিং প্রতিযোগিতা য় অংশ নিয়েছি আর তখন আমি বুঝি এর জন্য শিখতে হবে, নিয়ম ও কোর্স করতে হবে কেননা রান্না শুধু মসলা দিয়ে দিলেই নয় এর জন্য মাপ আছে। তখন এক বছর বিভিন্ন জায়গায় শিখতে শুরু করি,ভর্তি হই বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এ। এভাবে পর পর তিন বছর অংশ নেই কিন্তু সেরা দশ এ এসেই হেরে যাই এর মাঝে বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রাম এ রান্নার শো করি, জাতীয় পএিকায় রেসিপি দেই,ম্যাগাজিন এ, তারপর নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাসী হয়ে ২০১৪ সালে এ টি এন বাংলায় আয়োজিত "" সেরা রন্ধন শিল্পী রিয়েলিটি শো তে অংশ নেই এবং ১৬ পর্বের এ আয়োজন এ শত শত রাধুনিদের হারিয়ে আমি প্রথম ছেলে হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছি। পুরস্কার এর পাল্লা ও অনেক ছিল। পরদিন সব জাতীয় পএিকায় প্রথম পাতায় আমার ছবি। সত্যি ই উত্তেজনাপূর্ন ও চ্যালেন্জিং ছিল। এর পর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি আমার। এখন আমি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর একজন সরকারি শেফ হিসেবে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আছি। পাশাপাশি টিভি কুকিং শো করি। প্রায় সময় ভাবি আমি কিভাবে নিজে এবং সবার দোয়ায় এখানে আসলাম। যদিও তেমন কিছু না কিন্তু আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এটা কেননা এটা আমি কষ্ট করে নিজেকে তৈরি করে পেয়েছি এবং অন্যদেরও গল্প শুনাই। একটা কথা সত্যি যে মানুষ জন্ম থেকে কিছু শিখে আসেনা নিজের অবস্থান নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। আমার সন্তান কেও আমি এভাবে শিখাই এবং ওদের কেও আমি সাহায্য করবো। আমার কাজের প্রাপ্তি আমাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যায়...