MD. ANAS
ছোট্ট একটা দোকান পরিচালনা করছি, বাচ্চাদের খেলনা,গিফট ও ঘরে প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক আইটেম এবং কাঁচের মালামাল বিক্রি করছি প্রায় তিন বছর হলো। ২০১৯ সালের শেষ থেকে বর্তমানে ২০২১ এর শেষ প্রায়, করোনা মহামারী ও বিভিন্ন কারণে ব্যবসার অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এটি শুধু যে আমার ক্ষেত্রে তা নয়, বরং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম, এমতাবস্থায় এক মাটির বিভিন্ন পন্য বিক্রি করে এক হকারকে ফোনে কষ্ট ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কথা বলতে শোনলাম। টাকা পাডামু ক্যামনে? "বেচা-কেনা নাই। আমিই ঠিক মতো চলতে পারতাছি না। কারো কাছে ধার নেওয়ার মতো এইহানে কেউ নাই। যদি পারো কারো থেকে ধার নেও ,নাইলে ভিটি বন্ধক দিয়া টাকা নিয়া হাসপাতালে ভর্তি করো। আমি কিছু টাকা বেচাকেনা করে পরে বুঝমু নে। " জিগ্গেস করলাম কি হয়েছে? হকার বললো তার ছেলে হবে, হাসপাতালে ভর্তি করার টাকা নেই। মাটির মালামাল ও আগের মতো বিক্রি করতে পারছে না। যার ফলে, কিছুই করতে পারছে না। আমি তার থেকে মাটির প্লেট,হাড়ি,বাসন,গ্লাস- মগ ও ব্যাংক রাখলাম ৫ হাজার টাকার। এই মালগুলো আমি আগে বিক্রি করিনি। শুধুমাত্র তাকে তার প্রয়োজন ও জমি বন্ধকের কথা শুনে রেখেছি। আর একারণে দোকান মালিকের অনেক কথাও শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি তার মুখের হাসি ফুটানোর জন্য এবং সাময়িক দুঃখ ঘুঁচানোর জন্য যে বিশ্বাস নিয়ে এগুলো কিনেছিলাম বিক্রি করতে পারবো,আমি পেরেছি। এখন সেই লোক আমাকে নিয়মিত মাটির মালামাল দিয়ে যায়, দোকান মালিকের কোন অভিযোগ ও আমাকে আর শুনতে হয়না।