Nargis Sultana(Nadi)
" সুমিতার বিয়ে ঠিক হয় তার বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সাথে, কিনতু সুমিতা এ বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা কারণ সুমিতা যে ভালবাসে আকাশ কে, তাই বিয়ের দিন বিয়ের আসর থেকে কণের সাজে সে সবার চোখ কে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় সুইসাইড করার জন্য রেললাইনে কারণ সুইসাইড করা ছাড়া অন্য কোন গতি নেই সুমিতার কারণ সে আকাশের সাথে দেখা করে আকাশ কে তাকে সে রাতেই বিয়ে করার নয়তো Atleast তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে কিনতু কোন প্রস্তাবেই আকাশ রাজি ছিলনা তাই অপারগ হয়েই সুমিতার এ ভয়ানক ডিসিশন নেয়া, সুমিতা যখন সত্যি সত্যি তার ডিসিশন অনুযায়ী রেললাইনে এসে ওয়েট করতে থাকে ট্রেন এর জন্যে তখন সেখান দিয়ে বাসায় ফিরছিল রাতে পত্রিকা অফিসে চাকুরী করা সাংবাদিক শুভ, দ্রত গতিতে একটা ট্রেন আসতে না আসতেই চোখের পলকে ঘটে গেল দুর্ঘটনা, শুভ এক ঝটকায় সুমিতাকে সটকে দেয়, ট্রেনের বাম সাইডে গিয়ে আছঁড়ে পড়ে সুমিতা, মাথায় খানিকটা চোট পেলেও প্রাণে বেঁচে যায় সুমিতা, বিনিময়ে শুভর ডান হাত কাটা পড়ে ট্রেনের নীচে, হাসপাতালে নেয়ার পর কেটে ফেলতে হয় শুভর ডান হাত, চাকুরী চলে যায় শুভর, কিনতু সুমিতার পরম সেবা-যত্নে সুস্থ হয়ে উঠে শুভ, অহর্নিশ বিবেকের দংশনে দংশিত হওয়া সুমিতা তার জীবনে ঘটে যাওয়া সব সত্য শুভর কাছে খুলে বলে প্রায়শ্চিত্ত করার সু্যোগ চায় শুভর কাছে, শুভকে বিয়ে করার করুণা ভিক্ষা চায় সুমিতা শুভর কাছে, প্রতি উত্তরে শুভ বলে কোন করুণা নয় বরং ভালবেসেই সে সুমিতা কে চায় তার জীবনে, অত:পর যুগলবন্ধন, কিন্তু,শুভর তো চাকুরী নেই...চলবে কি করে তারা..? কিনডারগারটেন স্কুলে একটা চাকুরী নেয় সুমিতা আর ঘরে বসেই অনলাইনে সাংবাদিকতা চালিয়ে যায় শুভ, এদিকে বি,সি,এস দেয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে সুমিতা, নিজের সাথে নিজে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে সুমিতা At Any Cost শুভর জন্য হলেও তাকে বি,সি,এসে ক্যাডার পেতে হবে আর এ ক্যাডার পাওয়াই হবে তার প্রতি শুভর আত্মত্যাগের যথার্থ প্রতিদান, একসময় ভাইবা উতরে স্বপ্ন ধরা দেয় সুমিতার কাছে, ফরেইন ক্যাডারে মেধা তালিকায় প্রথম হয় সে, চাকুরীতে জয়েনিং দিনের সকাল ৮টা, গোসল ছেড়ে সুমিতা সুন্দর একটি লাল জামদানী শাড়ী ও ম্যাচ করে কপালে একটি লাল টিপ পড়ে যখন শুভর সামনে এসে শুভকে সালাম করতে মাথা নোয়ায় শুভ তখন এক হাতে সুমিতা কে টেনে বুকের কাছে নিয়ে কপালে আলতো ঠোঁট এর ছোঁয়ায় বলে ‘তুমি যা নিয়েছো আজ ফিরিয়ে দিলে তার বহুগুন... এ ঋণ যে শোধিবার ক্ষমতা আমার নেই..!’ আর সুমিতা শুভর বুকে মাথা রেখে বলে ‘আর তুমি?...তুমি যে আমাকে সেই কবে থেকেই ঋণী করে রেখেছো শত-সহস্র গুনে...শতগুনের ঋণ কি শোধিবে? প্রণামি তোমায় একবার নয়...শত সহস্রবার....."