Farhad Reza
"মিঠু শহরের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করা কর্মঠ যুবক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ইন্টারভিউ দিয়ে খুঁটির জোর না থাকায় চাকুরী বঞ্চিত, কিন্তু তার চাকুরীর খুব-ই দরকার কারণ তার জীবন সঙ্গিনী হওয়ার প্রত্যাশায় অপেক্ষারত তার-ই গ্রামের সুন্দুরী তরুণী সাথী, কিন্তু চাকুরী যোগাতে ব্যর্থ হতাশ মিঠু এক বিকালে নদীর পাড়ে একাকী আনমনে বসা, এমন সময় সে একদল পিপড়ার কঠোর পরিশ্রমে গড়া বালুর ঢিবি খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো পিপড়া নামক এ অতিশয় ক্ষুদ্র প্রাণীটি কতই না পরিশ্রমী ঠিক তখনি সে সিদ্ধান্ত নিল চুলোয় যাক চাকুরী, হাল চাষ করব, এ পিপড়া গুলোর মত কঠোর পরিশ্রম করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হব, অতপর যেই ভাবা সেই কাজ, শিক্ষিত মিঠু গ্রামে ফিরে যায়, হালের লাঙ্গল ধরে, কিন্তু গ্রামের মেয়ে হয়েও সুন্দুরী সাথী শিক্ষিত মিঠুর এ পেশা কে মন থেকে মেনে নিতে পারেনা উল্টো মিঠুর পেশা ও পরিশ্রমকে সে ঘৃণিত চোখে মূল্যায়ন করে মিঠুর সাথে সম্পর্কের ইতি টানে এতে মিঠু হতাশ হয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনা উল্টো মনে মনে শপথ নেয় একদিন জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটায়ে সে সাথীর ধারণা কে ভুল প্রমান করবে, এদিকে শহরের নামকরা শিল্পপতির মেয়ে রীমা তার বাপ দাদার ভিটে-মাটি দেখতে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে যা ছিল মিঠুর পৈত্রিক গ্রামের বাড়ি, রীমা কিছুদিন গ্রামে থেকে যাওয়ার কারণে একসময় পরিচয় হয় মিঠুর সাথে, মিঠুর জীবন কাহিনী শুনে ও স্বচক্ষে মিঠুর দিনভর নিরলস পরিশ্রম ও সর্বপরি মিঠুর জীবন নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কে সম্মান করতে যেয়ে মিঠুর প্রতি রীমার মনে এক শ্রদ্ধা বোধের জন্ম হয় যা কিনা আস্তে আস্তে মিঠুর প্রতি রীমাকে দুর্বল করে তোলে, রীমা ভাবে যে ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়েও ক্ষেতে লাঙ্গল চষে ফসল ফলানোর মত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ও নিজের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কে তুচ্ছ করে নিজ কে এ 'মজুর পেশা'-য় পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে সে ছেলেই তো সত্যিকারের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত আর এমন একটি ছেলে কে জয় করা তো ভাগ্যের ব্যাপার........"