Gopal Roy
'এ পজেটিভ(A+) রক্ত ডোনার রেডি আছে। লাগলে কল করুন'- এমন লিখে নিচে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পোস্ট করেছেন এক ব্যাক্তি। বিষয়টি বেশ ভালো লাগায় দু একটা পোস্ট ঘেটে দেখতেই এরকম আরো দু একটা পোস্ট নজরে আসে। শুধু তাই নয় অনেকেই মুমূর্ষু রোগীর জন্য জরুরী রক্ত চেয়ে পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টের কমেন্ড গুলোতে গিয়ে দেখা যায় ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই 'রক্ত ম্যানেজ' লেখা নিয়ে কমেন্ড বক্সে মন্তব্য। বাহ! বিষটি সত্যিই ভালো লাগায় আরো ঘাটলাম কয়েকটি পোস্ট। এবার যে পোস্টটি নজর কাড়ল তা হল, এক ব্যাক্তি তার অসুস্থ্য বাবার জন্য রক্তের প্রয়োজনে পোস্ট দিয়েছিল। কিছুক্ষন পর রক্ত পাওয়া যাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতামূলক পোস্ট করেছেন। হ্যা এমনটাই প্রতিনিয়ত ঘটে নীলফামারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ নুরুল করিম স্যারের প্রতিষ্ঠা করা সামাজিক অনলাইন ভিত্তিক রক্তের গ্রুপ 'ব্লাড ব্যাংক নীলফামারী'তে। নীলফামারী জেলার মত জায়গায় এইতো তিন চার বছর আগেও যেখানে রক্তদান বা রক্ত সংগ্রহ ছিল রূপকথার গল্পের মত, রক্তের অভাবে কত যে রোগীর জীবনে ঘটে যেত বেঘাত, রক্ত সংগ্রহ করতে যেখানে ঝড়াতে হত মাথার ঘাম, ব্যায় করতে হত হাজার হাজার টাকা অথচ এই নুরুল করিম স্যারের জন্য এখন বিষয়টা এতটাই সহজ হয়ে গেছে যে, রক্তের জন্য বেগতো পোহাতেই হচ্ছে না বরংচে রক্তের ডোনার রেডি থাকে সবসময়। হঠাৎ করে কোনো মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত লাগলে সাথে সাথে মিলে যাচ্ছে রক্ত। শুধু তাই নয়, তারুণ্যের প্রতীক, ইতিবাচক, হাসোজ্জ্বল এই নুরুল করিম স্যার তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এবং মানবতার স্বার্থে তরুণ শিক্ষার্থীদের রক্ত দানে অনুপ্রাণিত করতে নিজেও ৩৭ বার রক্ত দিয়েছেন এখন অবধি। 'মহতী মানবতার ফেরীওয়ালা হয়ে, আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের মত নিমিশেই রক্ত সমস্যার সমাধান বাস্তবায়ীত করে রোগীদের দাড়গড়ায় পৌছে দিচ্ছেন রক্ত। শুধুই কি রক্ত? না। মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে যেমন প্রয়োজন মত রক্ত জোগাড় করে দিচ্ছেন মুমূর্ষু রোগীদের ঠিক তেমনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের একজন শিক্ষার বটবৃক্ষ হয়ে আছেন তিনি। নীলফামারী জেলা। উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি ছিল আগে। আগে যে শিক্ষার একটা হাহাকার ছিল তা এখন একটু একটু করে কেঁটে যাচ্ছে কিছু মানুষের মহতি আত্মত্যাগের স্বমহিমার ফলে। তেমনি একজন শিক্ষার বটবৃক্ষ হলেন, নুরুল করিম স্যার। শিক্ষার বটবৃক্ষ হয়ে ডাল-পালা মেলে তপ্ত রোদে ছায়া দিচ্ছেন ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীদের নিশ্বাসে ছড়িয়ে আছেন শিক্ষার অক্সিজেন হয়ে। শিক্ষার্থীদের দ্বার গোড়ায় গিয়ে শিক্ষা বিষয়ে সু সচেতনতা সহ অতি দারিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সহ আর্থিক উপহার বৃত্তি দিয়ে চলছেন তিনি। যার ফলে শত শত শিক্ষার্থী এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। শিক্ষায়, সেবায়, মানবতায় অনন্য এই নুরুল করিম স্যার অসহায়, দুস্থ, অতিদারিদ্র মানুষের জন্য ফ্রি ব্লাড টেস্ট ক্যাম্পেইন, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, বিভিন্ন দুর্যোগে ও বিশেষ মুহুর্তে ত্রান সামগ্রী উপহার সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী শিক্ষা ও সামাজিক কাজ করে চলছেন। এই মানবতার কিংবদন্তী ও শিক্ষার বটবৃক্ষ নুরুল করিম স্যারের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা!