Mita Tumin
আসসালামুয়ালাইকুম! জীবন সংগ্রাম লড়াই এর গল্প! জীবন এক অদ্ভুত! আমি আমার মা ও নানির জীবন সংগ্রাম এর কথা শেয়ার করতে চাচ্ছি..." আমার নানা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি মিলিটারিদের বন্দুকের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।তার নাম ছুরু মিয়া,গ্রাম-কালিকাপুর,থানা-দেওয়ানগঞ্জ,পোষ্ট অফিস-দেওয়ানগঞ্জ,জেলা -জামালপুর।শুনেছিলাম তিনি মুক্তিদের কথা আনা-নেওয়া করতো।হঠাৎ একদিন পাকিস্তানি মিলিটারিরা খবর পেয়ে আমার নানাবাড়ি চারদিকে ঘেরাও করে এবং আমার নানীর (রুবিয়া বেগম)বুকে বন্দুক ধরে তখন আমার মা নানীর গর্ভে আমার মায়ের নাম স্মৃতি বেগম। আমার নানী ভাগ্য গুনে বেঁচে যায় কিন্তু আমার নানাকে মিলিটারিরা ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।আমার মা( স্মৃতি বেগম)মাঝে মাঝে অনেক কান্না করে তার বাবার জন্য তখন খুব কষ্ট হয় মার জন্য।যার আপনি মারা গেছে সে জানে বাবা হারানোর কষ্ট কি! আমার মা জন্মের আগেই তার বাবাকে হারিয়েছে। আমার মা তার বাবা কাছে পাওয়া তো দূরের কথা বাবার ছবি দেখার ও ভাগ্য হয়নি! আমার মা অল্প শিক্ষিত তিনি খুব সহজ সরল। আমার মা একজন শহীদের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি!নানা মারা যাবার পর নানি ঢাকা চাকরির জন্য আসে তার বাবার সাথে আর আমার মা তার দাদির সাথে... এমনো দিন গেছে আমার মা না খেয়ে থাকতো।ভালো খাবার চোখেই দেখে নি,সাবান কি তাও বুঝে নাই! মা যখন তার কথা কেটে যাওয়া দিন গুলোর কথা শেয়ার করতো চোখে পানি ধরে রাখতে পারতাম না! নানি মার বিয়ে ঠিক করে একটা ভালো ঘরে আআলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক ভালো আছে আমরা মায়ের তিন সন্তান।লিখার অনেক কিছু ছিল সময় সল্পতার কারনে সংক্ষেপে লিখলাম ধন্যবাদ প্রাণ মিঃ ম্যাংগো কে আমার মা জীবন সংগ্রাম লড়াই এর গল্প লিখার আমাকে সুযোগ করে দিবার জন্য।