তারফিনা শাহনাজ রজব
আমি তারফিনা শাহনাজ রজব। সবাই আমাকে রজব নামেই বেশি চিনে।সালটা ২০১৮ তখন আমার সদ্য মাএ ইন্টার ফাস্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো।ছোট বেলা থেকেই আমি কবিতা, উপস্থিত বক্তিতা ও মাঝে মাঝে বিতর্কে ও অংশ নিতাম।ঠিক তেমনি ভাবে কলেজে বিতার্কিক হিসেবে একটা পরিচিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই একটা নোটিশ পেলাম স্বেচ্ছাসেবী দিবস উপলক্ষে আমার জেলাতে একটা বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।আমি আগ্রহী ছিলাম আর কলেজে আমার একটা দল ও ছিলো।স্যাররা উৎসাহিত করলেন অংশ নেওয়ার জন্য।আমি ও রাজী হয়ে গেলাম এই টিমে আমি ছিলাম দলনেতা।তিন দিন সময় ছিলো প্রস্তুতি নেওয়ার কিন্তু বিপত্তি বাধলো তখন যখন বিতর্কের জন্য সাবজেক্ট দিয়েছিলো আমাদের।সাবজেক্ট টা পক্ষ দলের অনুকূলে ছিলো আর বিপক্ষের এই বিষয়ের পিছনে বলা মতো তেমন কোনো যুক্তি ছিলোনা।আমি তিনদিন পর্যন্ত পুরো টিম নিয়ে স্যারদের দ্বারপ্রান্তে দৌড়িয়েছি কারন যদি না কিছু বলার মতো পেয়ে যাই।কিন্তু স্যারগন কোনো পথই দেখাতে পারেননি।তার মানে সিশুয়েশন এমন ছিলো যে আমরা লড়াই করার আগেই জানি আমরা হেরে যাবো।আমার একজন শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন যদি তোমরা প্রথম রাউন্ড টপকাতে পারো তবে বুঝবো তোমরা খুব ভালো বিতর্ক করেছো! আসলে আমাদের শিক্ষকগণ এইভেবেই খুশি ছিলেন যে আমরা অংশ নিচ্ছি।এর চেয়ে বেশি কিছু উনারা আশা করেন নি।কিন্তু দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো আমরা পারবো।আমি দল জিতাতে পারবো।আমি চেষ্টা করতে চেয়েছি কিন্তু ইশ কথাটি বলতে চাইনি।যেদিন বিতর্কের ফাইনাল অনুষ্ঠান অইদিন বাসে যেতে যেতে আমি ঠিক করেছি আমি কি বলবো!তার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমার টিম কোনো স্কিপ্ট লিখে নাই।অনেক হতাশা,চাপ ছিলো আমি উপস্থিত মুখস্ত বক্তিতা রেখেছিলাম।সেদিন প্রথম রাউন্ড খুব সুন্দর ভাবেই টপকে গেলাম এবার আমার আত্নবিশ্বাস দ্বিগুণ হয়ে গেলো।আমি আমার টা সহ বাকী দুজনের স্কিপ্ট ও দ্বিতীয় রাউন্ডের টপিকের উপর উপস্থিত লিখে আমি আবার জিতে গেলাম।এইবার ফাইনাল রাউন্ড যেখানে দু দলের নাম্বার সমান ছিলো।তখন বিচারকগণ উপস্থিত দুই দলনেতার বুদ্ধিমত্তা যাচাই করে তাদের রায় দিলেন। আমরা জিতে এলাম আর তিনবারই শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করলাম আমি। হয়েছিলাম সেদিন জেলা চ্যাম্পিয়ন।এইপর আমি বিভাগীয় পর্যায়ে ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম কিন্তু এতো আনন্দ হয়নি যতটা আমি জেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জিতে পেয়েছিলাম।স্যারগন অবাক হয়ে গিয়েছিলো এবং আমরা ক্রেস্ট নিয়ে ফিরার পর আমাদের মিষ্টি মুখ করিয়ে বরন করে নিলেন।আর প্রথমবারের মতো চাটখিল কলেজ বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হলো আমার হাত ধরে❤️