বিজয়ের অগ্রযাত্রায় বঙ্গ একাডেমী

সোলাইমান

জীবন যুদ্ধ সেটাতো কখনোই থেমে যাওয়ার নয় , যুদ্ধের ধারাটাও ক্ষেত্র বিশেষ ভিন্ন হয় । ব্যক্তি , সমাজ , পরিবার , রাষ্ট , জাতি এভাবেই এই পরিধি আরও বিস্তৃত । যুদ্ধ সবাই জীবনে করে , অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজের জন্য পরিবারের জন্য । কিন্তু দেশ ও জাতীর জন্য কাজ করে যাওয়া যোদ্ধারা আড়ালেই থেকে যায় । বলতে যাচ্ছিলাম এমনি বিজয়ের রুপকারদের গল্প এক ঝাঁক মেধাবী তরুণ তরুণীদের গল্প , যেই গল্পের রূপকার জুবায়ের হোসাইন স্যার । যিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ বিজিত এই দরিদ্র , বিধ্বস্ত বাংলাদেশ যেটাকে দরিদ্র মুক্ত করতে , কর্ম সংস্থান গড়ে তুলতে বহু উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে । সেখানে মুক্তি যোদ্ধাদের মতই এই দেশের অর্থনৈতিক যোগান , কর্ম ক্ষেত্র সৃষ্টি , উদ্দেক্তা তৈরিতে এগিয়ে এসেছেন তিনি , নিজে দেশের জন্য রেখেছেন বড় অবদান , বাঁচিয়ে দিয়েছেন দেশের ৩৫০ কোটি রাজস্ব ফাঁকির টাকা । এছাড়াও কাজ করে যাচ্ছেন হাজার হাজার তরুণ তরুণীদের নিয়ে । যারা দেশের জন্য নিজেরাই কর্ম সংস্থান । একটা বিজয় পাওয়ার চেয়ে সেটাকে ধরে রাখাটা কোনো অংশেই কম নয় । আর তাই তো তার সল্প সময়ের ছাত্ররাই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের এই দিনে হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার । বঙ্গ একাডেমি " তারই হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান । যেটার নাম স্বাধীন বাংলার নামের সাথে মিল রেখেই তিনি রেখেছেন । বঙ্গ একাডেমী। এমনকি নিজের তৈরি মোবাইল সফটওয়ার এর নামও দিয়েছেন "বঙ্গ স্ক্যানার" তাই তো আমি নিজে স্যারের ছাত্র হিসেবে গর্বিত । বাংলার এই স্বাধীনতা ইনাদের মত যুবকদের জন্যই সন্মান নিয়ে পালন করি । যারা এই বিজয়ের সন্মান ধরে রেখেছে এই ধরার বুকে । বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তাদের কেও একটু শ্রদ্ধার সাথে দুয়ায় শামিল করতে চাই । বিজয়ের এই সন্মান অটুট থাকুক । দেশে তৈরি হোক এমনি হাজার যুবক যারা হবে দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ । বিজয়ের মাসে তাদের জন্য থাকলো আলাদা দুয়া । দেশে গড়ে উঠুক হাজারো এমন বঙ্গ একাডেমী।