Md. Ali Hossain
১৯৭১ সালের ব্রিটিশ বাঙালিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সমর্থনে সর্বজনীনভাবে একত্র হয়েছিল। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসে থেকেও যাঁরা জনমত গঠন করেছেন স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠন সহযোগিতা করতে তাদের মধ্যে একজন মোতাহের রহমান (আক্কা) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে সমাজের সেবামূলক কাজ করতে অঙ্গীকার করেন, এবং চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন, জনাব মোতাহের রহমান (আক্কা) অবহেলিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত যেখানে নৌকা ছিল একমাত্র যোগাযোগ এর মাধ্যম সেখানে রাস্তা ঘাট তৈরি করা উদ্যোগ নেন, এবং ১৯৭৭ সালে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, এলাকার সর্বজনের কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত একজন সমাজ সেবক আক্কা চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, ইনাত গন্জ এলাকায় বিদ্যালয় স্হাপিত হওয়ায় অত্র এলাকার শিক্ষার্থীরা লেখা পড়ার সুযোগ পেয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনবার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিষদের অন্তর্ভূক্ত হন। পরম জহিতকর ও সমাজসেবি হিসেবে শুধু ইনাতগঞ্জ নয়, পুরো হবিগঞ্জ জেলাতেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ইনাতগঞ্জ এলাকার প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, টেলিগ্রাম অফিস প্রভৃতি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে অবসর জীবন যাপনকালেও তিনি এলাকার গরীব-দু:খি মানুষের সহায়তার জন্য সব সময় সহায়তার হাত প্রসারিত করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি নাগরিকত্ব সূত্রে ব্রিটিশ হলেও দেশ ও এলাকার কল্যাণে তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময়ই দেশে অবস্থান করেছেন। জনাব মোতাহের রহমান (আক্কা) ২০১৫ সালে ১৪ আগস্ট কৈখাইড়স্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো প্রায় ৯৫ বছর। জনাব মোতাহের রহমান আক্কা সাহেব শত সহস্র বছর মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।