মজিবর রহমান
আমি মজিবর রহমান আমি জন্ম গত শারিরীক প্রতিবন্ধীব্যক্তি। আমি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করি প্রায় ২০০৪ সাল থেকে। আমি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চল দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামে আমজর বসবাস। দারিদ্র পরিবার জন্ম নিয়ে প্রতিবন্ধীতার কশা ঘাতে বেরে ওঠা এক টকবগে যুবক, ২০০৫ সান এক পায়ে লঠি ভর করে গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে প্রতিবন্ধীদের সুসংগঠিত করে তাদের ন্যায় অধিকার প্রতিষ্টায় কাজ করতে থাকি। আমি প্রথমে স্ব সহায়ক দলের সদস্য হই, তারপর ডিজেবল পিপল অরগানাইজেশন ডিপিও'র সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই পরের বসরে সভাপতি হই, ২০১০ সালে। জাতীয় লেভেলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে একটি সংগঠন জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই।মুল গল্প আমাদের এলাকাতে এক বড় ভাইয়ের একটি মোটরসাইকেল আছে সে ভাড়ায় চালাতো। একদিন আমার বাড়ি থেকে প্রায় পচিশ কিলোমিটার দূরে প্রতিবন্ধী বোনের বাড়িতে তাদের পারিবারিক ঝামেলার জন্য আমাকে ডেকেছে তাই আমি তাদের বাড়িতে জাবো বলে বেড় হয়ে পাশের বাড়ির, মমিন ভাইকে ডাকতে লোক পাঠালাম। তাকে আমি আগের দিন বলে রেখে ছিলাম যে ভাই আমি কাল সকালে পলাশবাড়িতে যাবো আপনি আসবেন। সে আমাকে কটাক্ষ করে বলেছিল তুই আমার মোটরসাইকেলে করতে পারবি না। আমি তাকে বিনয়ের সাথে বলেছি ভাই আমার কাল খুব জরুরী দরকার আমাকে একটু দয়া করেন তখন সে রাজি হয়। পড়ের দিন আমাকে পলাশবাড়ীতে নিয়ে যায় ১৫০০ টাকার বিনিময়ে। চুক্তি ছিলো নিয়ে যাবে আবার কাজ শেষ হলে দিয়ে যাবে কিন্তু সে আমাকে আর নিয়ে আশেনি। আমি অনেক কষ্টে রাতে বাড়িতে এশে আমার বাবা-মাকে বিষয় টি বলি তারা তখন মন খরাপ করেন। পরের দিন দুপুর দেলায় আমার বাবা মোটরসাইকেলের শোরুম এ যান এবং একটি টিভিএস মেট্রো মোটরসাইকেল কিনে আনেন আমার জন্য। বাবা আমাকে বলে যে ভাবেই হোক তোমাকে মোটরসাইকেল চালানো লিখতেই হবে। তারপরে আমার ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি মোটরসাইকেল চালানো শিখি বর্তমানে এখন আমি দিব্যি মোটরসাইকেল চালাতে পারি আমাকে আর অনুরোধ করে বলতে হয় না ভাই আমাকে একটু দয়া করেন । আমি পেরেছি বিজয়ী হতে। তাই আমি বলতে চাই বিশ্বায়নের যুগে যোগ্যতমের জয় একথা আমরা রহ রহ শুনি সুযোগ দিলে সহযোগিতা করলে আমরা সবাই পারব দেশ ও সামাজের সাথে থেকে উন্নতি করতে বা বিজয় ছিনিয়ে আনতে। ধন্যবাদ