থেমোনা বাংলাদেশ

Md Rashed Howkader Rasl

মোঃ রাসেদ হাওলাদার প্রিয় জন্মভূমি, বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ আমার সোনার বাংলাদেশ।৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো আজকের এই বাংলাদেশ। আমাদের এই স্বাধীনতা জাতিগত যতটুকু অর্জন তার মূলে রয়েছে তারুণ্যের অদম্য ও ঐক্যবদ্ধ শক্তি। ৫০ বছরে এসে মুছে যাক গ্লানি। সামনে আরো এগিয়ে যাক,,হয়ে উঠিক বিশ্বময় উন্নয়নশীল দেশ।তাই তো বলে উঠি থেমোনা বাংলাদেশ। ১৯৭১ এর যুদ্ধ দেখেনি, দাদা দাদীর কাছে শুনেছি,বইয়ের গল্পে পড়েছি।আজ বিজয়ের ৫০ বছরে কাছাকাছি এসেও কিন্তু দেশ জড়িয়ে গিয়েছিলো এক মহা মারি রোগে যেটা পুরো বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিলো করোনা ভাইরাস নামে এই ভাইরাসটি লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়।মারা যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর এমন অবস্থায় আমার জীবনে আসে একটা বিজয়ের স্বাদ।চারিদিকে যখন মহামারী গল্প সেখানে আমার বাড়ির পাশে ছিলো একটি এতিম খানা,,,যা সবার সাহায্য দিয়ে চলতো। তবে সব চেয়ে খারাপ সময় গিয়েছিলো মহামারীর সময়।কেউ ওদের পাশে যাইনি।।দিতে পারিনি কোন সাহায্য, সবাই যার যার জিবন নিয়ে ব্যাস্ত।আমি সেদিন দাড়িয়ে ছিলাম সেই এতিম বাচ্চাদের পাশে।ওরা ২৩ জন ছিলো।আমার এমন টাকা পয়শা ছিলোনা,,তারপর সবার জন্য মাক্স,হ্যাক্সিসল,সাবান কিনে দিয়ে আসি,,আর বলে আসি তোমরা ভয় পেয়েওনা আল্লাহ আমাদের পাশে আছে। লকডাউন শুরু হয়ে গেলো।।এখন তো আরো খারাপ অবস্থা,, কোথাও যাওয়া যায় না, আমি স্বাস্থ্য বিধি মেনে সবার দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সাহায্য এনে ওদের সাহায্য করি,,,এবং ওদের মহামারী থেকে বাচার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানতে বলি। এভাবে ১ টা মাস ওনেক কষ্ট করি,, আল্লাহ কোন বিপদ দেয়নি। আল্লাহ তালা ওদের কোন ক্ষতি করেনি।এতিম বাচ্চা গুলো আজ ভালো আছে।এটা আমার কাছে বড় একটা বিজয় মনে হয়।আমি মনে হয় সেদিন একা যুদ্ধে নেমেছিলাম। তাইতো আমি আজ জয়ী মনে হয়।সবাই মিলে যদি এভাবে যুদ্ধে নেমে পড়ি কেউ থামাতে পারবেনা বাংলাদেশ কে। থেমোনো বাংলাদেশ।আজ বিজয়ের ৫০ বছরের দিনে জানাই সেই লাখো শহীদের হাজার সালাম,,,।