Syeda Samia Rahman
একটা মেয়ের কাছে জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে তার ইজ্জতের নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আর এর জন্য হয়তো প্রতিদিন শত শত, হাজার -হাজার মেয়েকে প্রাণ দিতে হয় সারা বিশ্বে। প্রত্যেকটা মেয়েকে জীবনে একবার করে হলেও হেরাসমেন্ট এর স্বীকার হতে হয়। বড় কোন বিজয় হয়তো কখনো পাই নি কিন্তু জীবনে ছোট ছোট অনেক বিজয়ের স্বাদ পেয়েছি। এই ছোট ছোট বিজয় গুলোর মধ্যে বড় একটা বিজয় এখনো মনে দাগ কাটে। ঘরমুখো মেয়ে হওয়ায় বাইরে একা চলতে প্রবলেম হয়, কিন্তু আজকের দিনে কারোর উপর নির্ভর করে বসে থাকলে তাদের অবর্তমানে জীবন ঠিকি থেমে থাকবে কিন্তু সময় তার মতোই চলতে থাকবে, আমাকে হয়তো জীবন থেকে অনেক পিছিয়ে পড়তে হবে।টক্সিক কিছু পুরুষ বা সন্ত্রাসদের ভয়ে তো আর পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। তাই বাসা থেকে একাই কলেজে যাওয়া আসা করতে হয়। বাসা থেকে ডিরেক্ট কলেজ আর কলেজ থেকে বাসা,এতটুক ই। একদিন বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সায় উঠলাম, গেটের সামনে এসে রিক্সা ওয়ালা রিক্সা থামালো, বললাম মামা কষ্ট করে কলেজের ভিতরে দিয়ে আসেন, উনি মুখ দিয়ে বাজে কোনো শব্দ ব্যবহার করেছেন হয়তো, খুব দ্রুত বলায় ক্লেয়ার বুঝতে না পেরেও হতবাক হই। ততক্ষণে উনি কলেজ গেটের ভিতরে রিক্সা নিয়ে যান। বরাবরের মতো ভারাটা হাতেই ছিলো, রিক্সায়য় বসে থেকেই ভাড়া দেই। ( তখন সবসময় বড় হেন্ডব্যাগ ব্যবহার করতাম, কারন ব্যাগে ইন্সটেন্ট প্রয়োজনের সব জিনিস ক্যারি করতাম, যেনো হঠাৎ কোনো প্রবলেমে পড়তে না হয়)। যখনি রিক্সা থেকে নামতে যাবো রিক্সাওয়ালা বেড টাচের উদ্দ্যেশ্যের হাত বাড়ায় আর সৌভাগ্য বসতো হ্যান্ড ব্যাগের বারি লাগে উনার হাতে আর আমি এক দৌড়ে কলেজের বাড়ান্দায়। যখন নিজেকে সেইফ করতে পেরেছিলাম মনে হচ্ছিলো যেনো যুদ্ধ জয় করেছি। মাঠ ভর্তি শিক্ষার্থী, কারোর চোখে পড়ল না, আর আমি এতটাই অসহায় ভাবছিলাম যে কাউকে চিৎকার করে বলতেও পারছিলাম না এই নোংরা লোকের কথা। শুধু কু্ত্তার বাচ্চা একটা শব্দদ আসছিলো মুখ দিয়ে। আমারর মতো আরো অনেক মেয়ে হয়তো এভাবেই বলতে না পারার অসহায়ত্বের কারনে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না,হেরে যায়,কিন্তু সিচুয়েশন আমার ফেয়ারে থাকায় আর আল্লাহ্ সাহায্য করায় আমি নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ্, এটা আমার কাছে বিজয়ের চেয়ে কম কিছু নয়। নিরাপদ থাকুক সব মেয়ে।